পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শেষ ইউরোপ রাঙাতে পারলেন না শেষ পর্যন্ত। তবে তিনি এখনো ফুটবল বিশ্বকে বিদায় জানায়নি কিন্তু এটা নিশ্চিত যে কেরিয়ারের সর্বশেষ ইউরো (২০২৪) খেলে ফেললেন পর্তুগিজ এই ফুটবল রাজপুত্র।
শনিবার রাত ১ টার সময় ইউরাে ২০২৪ সেমিফাইনাল নিশ্চিতের লক্ষ্যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল এবং কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্স হামবুর্গে মুখোমুখি হয়। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে ১২০ মিনিটের খেলায় উভয় দল গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ পৌঁছায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫-৩ গোল ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো ২০২৪ এর সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় ফ্রান্স। অপরদিকে জার্মানিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে এসেছে স্পেন। তাই সেমিফাইনাল এর ম্যাচে ফাইনাল নির্ধারণের লক্ষ্যে স্পেন এবং ফ্রান্স মুখোমুখি হবে।
ম্যাচে সেইভাবে আধিপত্য দেখা যায়নি কোন দলকেই। তবে বল দখল এবং পাসে প্রথম অর্ধে এগিয়েছিল পর্তুগাল। কিন্তু গোলে কনভার্ট করতে পারেনি রোনালদো, বারনান্দো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ এর পর্তুগাল।
ম্যাচের ২০ মিনিটে প্রথম শর্ট নেয় ফ্রান্স। তারপরে ২৮ মিনিটে ফ্রান্সের কামাভিঙ্গার শট গোলপোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। একইভাবে ৪২ মিনিটে পর্তুগিজ তারকা ব্রুনো ফার্নানদেজের শর্ট গোলপোস্টের উপর দিয়ে গ্যালারিতে চলে যায়। ০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ করে ফ্রান্স এবং পর্তুগাল।
একইভাবে ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে, গ্রিজম্যানরাও প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেনি। তবে ম্যাচের ৫০ মিনিটে বল নিয়ে একাই দৌড় দেন ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু তার শর্ট একা হাতে ঠেকিয়ে দেয় পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়েগো কোস্তা এভাবে করে দুই দলের একাধিক শর্ট ঠেকিয়ে দেয় উভয় গোলরক্ষক।
৬১ মিনিটে পর্তুগিজ তারকা কানসালোর শর্ট ঠেকিয়ে দেয় ফ্রান্সের গোলরক্ষক মাইনগান। পরবর্তীতে দুই মিনিটের মাথায় আবার আক্রমণের পর্তুগাল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কোন শর্ট গোলে কনভার্ট করতে পারিনি।
এভাবে একের পর এক আক্রমণ চালায় দুই দল কিন্তু নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য থাকায় পরবর্তীতে আরো ৩০ মিনিট যুক্ত করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত টাইমেও উভয় দল গোলশূন্য থাকে। পরবর্তীতে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে এমবাপ্পেকে বদলি করান ফ্রান্সের কোচ।
পেনাল্টি শুট আউট এ সর্বপ্রথম শর্ট নিতে আসেন ফ্রান্সের ওসমান ডেম্বেলে। প্রথম শটে জোরালোভাবে বল জালে জড়ান এই ফ্রান্স তারকা। এবং পর্তুগালের হয়ে প্রথম শর্ট নিতে আসেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এবং তার দক্ষতায় বলটিকে জালে জড়ান এই মহতারকা।
এবং পরবর্তীতে ফ্রান্সের ২য় শর্টে গোল করেন ফ্রান্স তারকা ইউসুফ ফোফানা। পর্তুগালের হয়ে ২য় শটে গোল করেন বের্নার্দো সিলভা।
পরবর্তী ফ্রান্সের হয়ে তৃতীয় শটে গোল করেন Jules Koundé, কিন্তু পর্তুগালের হয়ে তৃতীয় শটে গোল মিস করেন জোয়া ফেলিক্স। তারপরে চতুর্থ শটে ফ্রান্সের ব্র্যাডলি বারকোলা এবং পর্তুগালের নুনো মেন্দেস গোল করেন।
৫ম শটে থিও হার্নান্দেজ গোল করে পর্তুগালকে ফেরার সুযোগ দেননি। সর্বশেষে খেলার ফলাফল দাঁড়ায় (ফ্রান্স) ৫-৩ (পর্তুগাল) গোলে। ফেটে পড়ে উল্লাসে ফ্রান্সের গ্যালারী। এবং পর্তুগাল ফ্যানদের চোখে মুখে হতাশা। এই ম্যাচটি হল পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর ইউরো এর শেষ ম্যাচ।
আপনি কি জানেন – ফুটবলে চালু হচ্ছে গোলাপি কার্ড এর ব্যবহার!