পাকিস্তানের রাওয়াল পিন্ডিতে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। এর আগে কখনোই টেস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জয়লাভ করতে পারেনি। এবার তাদের ঘরের মাঠেই টানা দুটি ম্যাচে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলার টাইগারা।
দলের এমন বড় সাফল্যের জন্য কাউকে না কাউকে জ্বলে উঠতেই হতো। এই দায়িত্বটাই যেন মেহেদী হাসান মিরাজ একাই কাঁধে তুলে নিয়েছিল, এবং সফল হন তিনি। ১০ উইকেট এর সাথে দুই ম্যাচে করেন ১৫৫ রান, তাতেই সিরিজ সেরা খেতাবটা ঠেকায় কে? হয়েছেন সিরিজ সেরা।
আর সেই সিরিজ সেরার পুরস্কারের পুরো অর্থই দিতে চেয়েছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত হওয়া এক রিক্সা চালকের পরিবারেরকে। জানতে পারেনঃ ক্রিকেটে রান আউটের নিয়ম কানুন সমূহ
ব্যাট এবং বল হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্সে যেন নিজের জাত চেনালেন মিরাজ। এদিন মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন এক অন্যরকম ছন্দে। এবং অর্জন করেছেন ম্যান অব দ্যা সিরিজের পুরস্কারও। এই ধরনের সিরিজে সেরা খেলোয়াড় হওয়া যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য বড় পাওয়া।
যখনই ঘোষণা করেছে, সিরিজ সেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তখনই মিরাজের মনে পড়েছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত হওয়া এক রিক্সা চালকের পরিবারের কথা। তাই সঙ্গে সঙ্গে মিরাজ ঘোষণা করেন তার সিরিজ সেরার পুরস্কারের সম্পূর্ণ অর্থই দিবেন ওই পরিবারকে।
বাংলাদেশ পাকিস্তান সিরিজের দুই ম্যাচের প্রথম ম্যাচেই ১০ উইকেটের এক বিরাট ব্যবধানে জয়লাভ করে বাংলার টাইগাররা। এই ম্যাচ জয়ের পিছনে মেহেদী হাসান মিরাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। প্রথম ইনিংস শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি একাই তুলে নেন ৪ উইকেট।
গতানুগতিকভাবে পরের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ বল হাতে তুলে নেন ৫ উইকেট। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে একটি অর্ধশতকের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ৭৮ রান করেন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের এই টেস্ট সিরিজে মোট দুই ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ রান করেন ১৫৫ এবং সর্বমোট ১০টি উইকেট স্বীকার করেন। এতেই তিনি হয়ে যান এই আসরের সেরা খেলোয়ার।
এত অর্জন আর আনন্দ উল্লাসের মাঝেও মেহেদী হাসান মিরাজ ভোলেননি তার নিজ দেশের একটি রিক্সাওয়ালা ও তার পরিবারের কথা। যে রিক্সাওয়ালা মারা গিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে। তাইতো মেহেদী হাসান মিরাজ তার সিরিজ সেরা হওয়ার পুরস্কারের পুরো অর্থই দিয়ে দিতে চেয়েছেন নিহত ওই রিক্সাওয়ালার পরিবারকে।