দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এক নতুন ইতিহাস তৈরি করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটের জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে, ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। এর আগে দেশের বাইরে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
অন্যদিকে নিজেদের মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তান। এর আগে ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের সাথে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সহজে জিতেছে বাংলাদেশ। সাদমান ও জাকির দুই ওপেনার তাদের শুরুটা ঠিকঠাক মতোই করেছিলেন। এরপর মমিনুল ও নাজমুল দলের চাহিদা অনুযায়ী রান করেছে।
মুমিনুল ৩৪ রান ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৮ রান করেছিলেন। মুমিনুল হক আউট হন দলীয় ১৫৩ রানে তারপর শেষ কাজটা করেন সাকিব ও মুশফিকুর রহিম। পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল ১৮৫ রানের পুঁজি নিয়েও বাংলাদেশকে আটকানো। কিন্তু শেষমেষ তা আর হলোনা।
জানতে পারেনঃ আবারো এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল বাংলাদেশ
পাকিস্তানের কোচ বলেছিলেন শেষ বল পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তারা। পাকিস্তানের বোলাররা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটারদের সামনে তাদের পরিকল্পনা ভেসতে যায়। শেষ ৩০ রান সাকিব ও মুশফিক ঠিকভাবে করে নিয়েছিল। মুশফিক ২২ রান ও সাকিব ২১ রান করে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে তারা।
এই সিরিজের আগেও বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে আরো ছয়টি সিরিজ খেলেছিল। কিন্তু এর মধ্যে সিরিজ তো দূরের কথা একটা ম্যাচ জিততে পারিনি বাংলাদেশ। এসব সিরিজের মধ্যে ১৩ টি ম্যাচ খেলে ১২ টি ম্যাচ হেরেছিল এবং অন্য একটা ম্যাচ ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
এর আগে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার তাণ্ডবে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অল আউট করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের টার্গেট হয় ১৮৫। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইবার পূরন করেন হাসান মাহমুদ। আর অন্যদিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গতির বল করে নাহিদ রানা। সেই বলটির গতি ছিল ঘন্টায় ১৫২ কিলোমিটার। এবং উইকেট নেন ৪টি।
বাকি ১ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন মেহেদী হাসান মিরাজ, এবং এই ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন লিটন কুমার দাস। কারণ এই ম্যাচে লিটনের রান ছিল ১৩৮। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন মুশফিকুর রহিম, তার রান ছিল ১৯১। এই জয় বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।