স্বাগতিক শ্রীলংকা নারী দল তাদের ঘরের মাঠে পরাশক্তি ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ঘরে তুলেছে। ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা। আজকে বিকেলে এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং শ্রীলংকা।
প্রথমে টস দিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ডাম্বুলায় তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৬৫ রান তুলে। বাংলাদেশের বিপক্ষে অসাধারণ হাফ সেঞ্চুরি করা ওপেনার স্মৃতি মান্ধানার ব্যাটে আবারো এক ঝড়ও ইনিংস। ৪৭ টি বল খেলে ১০টি চারের মার দিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান তোলে এই ওপেনার।
এই সময়ে শ্রীলংকা কিছুটা এক কোণে হয়ে পড়ে। তারপরে ভারতের দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার জেমিমা রদ্রিগেজ এবং রিচা ঘোষ এর মারকুটে ব্যাটিংয়ে লড়াকু স্কোর পেয়ে যায় ভারত। মাত্র ১৪ বলে ১ টি ছয় এবং ৪ টি চারের মাধ্যমে ৩০ রান তোলেন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান রিচা ঘোষ।
অন্যদিকে জেমিমা রদ্রিগেজ ১ টি ছক্কা এবং ৩ টি চারের মাধ্যমে ২৯ রান তুলতে সক্ষম হন। আজকে শ্রীলংকার বোলিংয়ে সবথেকে সফল ছিলেন স্পিনার কাভিশা দিলহারি। তিনি ৪ ওভার বল করে ৩৬ রান খরচে ২ উইকেট ঝুলিতে তুলেন। ২০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ১৬৫ রান।
বিরতির পরে ১৬৬ রান তারা করতে নেমে লংকান নারী ব্যাটাররা বেশ বুঝেশুনে খেলতে শুরু করেন। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত দ্বিতীয় ওভারে বিষ্মী গুণারত্নে রান আউটে কাটা পড়ে যান। এরপরে দলের হাল ধরেন শ্রীলংকান ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু।
ক্যাপ্টেনকে সঙ্গ দেন তৃতীয় পজিশনে নামা হার্শিতা সামারাবিক্রমা। চামারি আতাপাত্তু ও হার্শিতা সামারাবিক্রমা জুটিতে আসে ৮৭ রান। তারপরে ওপেনার চামারি আতাপাত্তু ব্যক্তিগত ৬১ রানে দীপ্তি শর্মার বলে বোল্ড আউট হন। চতুর্থ পজিশনে ব্যাট করতে নেমে বল হাতে আলো ছড়ানো দিলহারি অপরাজিত হার্শিতা সামারাবিক্রমাকে সঙ্গ দেন।
তৃতীয় উইকেটের এই জুটিতে মাত্র ৪০ বলে ৭০ রানের পুঁজি গরে ৮ বল অবশিষ্ট থাকতে জয়ের প্রান্তে চলে যায় শ্রীলংকা নারী দল। চতুর্থ উইকেটে আসা কবিশা দিলহারি ২ টি ছক্কা এবং ১ টি চারের মাধ্যমে ১৬ বলে ১৮৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে ৩০ রান তুলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অপরদিকে অপরাজিত হার্শিতা সামারাবিক্রমা ৬ চার এবং ২ ছক্কার মাধ্যমে ৫১ বলে ৬৯ রান তুলেন। এর পূর্বে ৫ বার এশিয়া কাপের ফাইনালে কপাল করেছিল শ্রীলংকার। অবশেষে সেই স্বপ্নের শিরোপা ধরা দিল তাদের হাতে, তাও শক্তিশালী ভারতকে পরাজিত করে।
জানতে পারেনঃ ক্রিকেটে কত ধরনের আউট আছে।
ফাইনালে ৫১ বলে ৬৯ রান তুলে এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন হার্শিতা সামারাবিক্রমা এবং এই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ পারফরম্যান্স করা শ্রীলংকান ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু।